![]() |
ওয়েব নিউজ |
আগামীকাল পহেলা বৈশাখ। এ উপলক্ষে রবিবার এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, "২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার এক অনন্য সুযোগ এনে দিয়েছে।"
তিনি বলেন, এই অভ্যুত্থান আমাদের প্রেরণা জোগায় একটি বৈষম্যহীন, সুখী-সমৃদ্ধ, শান্তিময় ও আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তাই বাংলা নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার হোক—বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
প্রফেসর ইউনূস দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, "আসুন, আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি।"
তিনি আরও বলেন, বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে পহেলা বৈশাখ একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এটি শুধু বছরের প্রথম দিন নয়, বরং এটি বাঙালির সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন।
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই দিনে সমগ্র বাঙালি জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে। সারা বছরের দুঃখ-জরা, ক্লান্তি ও ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে এই দিনে বাঙালি সৃষ্টি করে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার এক অটুট বন্ধন।
বাংলা নববর্ষ পালনের ঐতিহাসিক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বাংলা নববর্ষের সূচনা হয় মুঘল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সনের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা আজ পরিণত হয়েছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক মহান উৎসবে।"
শেষে তিনি বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত সব উদ্যোগের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন।