![]() |
ওয়েব নিউজ |
দেশ যখন অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে, তখন একদল নতুন প্রজন্মের উদ্যমী, দূরদর্শী নেতৃত্ব সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। তাদেরই অন্যতম একজন—বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। অনেকের মতে, তিনি এই সময়ের সবচেয়ে বড় ‘গেম চেঞ্জার’, এমনকি কেউ কেউ তাকে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের পর আরেক "অর্থনৈতিক বিপ্লবী" হিসেবেও বিবেচনা করছেন।
আশিক চৌধুরী এবং তার টিম দেশীয় উন্নয়নে যে গতিতে কাজ শুরু করেছেন, তা ইতোমধ্যেই অভাবনীয় সাড়া ফেলেছে। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন, তা দেশের অর্থনীতিকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে সক্ষম বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিশ্বমানের অংশীদারিত্ব ও চুক্তি তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই স্পেস টেকনোলজি কোম্পানি Starlink-কে দেশে এনেছে। নাসার সাথে একটি গবেষণাভিত্তিক চুক্তি সম্পাদন হয়েছে। শুধু তাই নয়, একটি আন্তর্জাতিক ব্যাংকের সাথে একশো কোটি (১ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে—যা চলতি বছরেই বাংলাদেশে প্রবাহিত হওয়ার কথা।
লজিস্টিক ও অবকাঠামো খাতে বৈপ্লবিক উদ্যোগ দেশীয় লজিস্টিক ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে আশিক চৌধুরীর অধীনে ৫টি বিশালাকার মালবাহী জাহাজ ইতোমধ্যেই ক্রয় করা হয়েছে। রিভার ম্যানেজমেন্ট খাতে আধুনিক পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ আনতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগে চারটি আন্তর্জাতিক হাসপাতাল স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নের লক্ষ্যে চারটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে, যেগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এতে করে দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান ও সুযোগ দুই-ই বহুগুণে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
উন্নত রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ইলেকট্রনিক অথবা বুলেট ট্রেন চালুর লক্ষ্যে বিনিয়োগ আলোচনাও চলছে, যা বাস্তবায়িত হলে দেশের রেলপথ যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে।
অর্থনৈতিক অঞ্চল ও কর্মসংস্থান ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১০টি বৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ১ লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য আশিক চৌধুরীর লক্ষ্য আগামী দিনে বাংলাদেশে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক বিনিয়োগ নিশ্চিত করা। এই বিশাল অর্থনীতিক প্রবাহ সরাসরি প্রভাব ফেলবে দেশের অন্তত ৩ কোটি মানুষের জীবনে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পরবর্তী সরকার যদি আশিক চৌধুরী, খলিলুর রহমান এবং শফিকুল আলমদের মত প্রগতিশীল ও উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে, তাহলে বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়ার মত উন্নত দেশের কাতারে নিতে হয়তো তিন বছরের বেশি সময় লাগবে না।
দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে আশিক চৌধুরীর মত উদ্যমী নেতৃত্ব যদি পূর্ণ সুযোগ ও সমর্থন পায়, তাহলে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। ইনশাআল্লাহ।